Tuesday, August 26, 2014

প্রতিবন্ধীত্ব নিয়ে সংশ্লিষ্ট আর্টিকেল





তিনি Asperger এর সিন্ড্রোম আছে, কারণ স্কুল জুড়ে দৈনিক তর্জন সম্মুখীন একজন সাউথ ওয়েল্স দেশ: সালিস,, অটিজম মানুষের বোঝার বৃদ্ধি একটি অ্যানিমেটেড ফিল্ম ব্যবহার করা হয়.

প্রতি বছর প্রায় ৫,০০০ শিশু এই প্রতিবন্ধীত্ব নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, কিন্তু মাত্র ৫% এর চিকিৎসা করা হয়৷ একটি নতুন কর্মসূচি বিনামূল্যে প্রক্রিয়া বাতলে দিচ্ছে ও সমাধান দিচ্ছে৷

ঢাকা থেকে খবর দক্ষিণ এশিয়ার জন্য লিখেছেন শাহরিয়ার শরীফ
অগাস্ট 20, 2014

৩৫ বছর আগে পাবনার উল্লাপাড়ায় রতন আলী যখন ক্লাবফুট বা মুগুর পা নিয়ে জন্ম নিয়েছিলেন তখন এর কোনো চিকিৎসা ছিল না৷

৩রা জুনে ঢাকায় বিশ্ব ক্লাবফুট দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবীরা একটি সমাবেশে অংশ নিয়েছে৷ [মুসলিমা জাহান/খবর]
৩রা জুনে ঢাকায় বিশ্ব ক্লাবফুট দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবীরা একটি সমাবেশে অংশ নিয়েছে৷ [মুসলিমা জাহান/খবর]

সংশ্লিষ্ট আর্টিকেলসমূহ
বিশেষজ্ঞদের মতে: ইউনানী চিকিৎসার মাধ্যমে বিশ্ব উপকৃত হতে পারে
ভারতে চিকিৎসা পর্যটন-এর ব্যপক বিস্তার ঘটছে
আধুনিকায়িত জাফনা হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে
আলী একজন কৃষকে পরিণত হন এবং যন্ত্রণাময় পরিণতি নিয়ে এই প্রতিবন্ধীত্বের বোঝা বহন করে প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় পৌঁছেন ৷ কিন্তু যখন তার ছেলে তামিমও মুগুর পা নিয়ে জন্ম নেয় , তখন তার ছেলের জন্য আলীর সামনে চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল৷

“আমার ছেলের মধ্যে আমি আমার নিজের অভিশপ্ত জীবনের প্রতিফলন দেখতে পাই৷ সেই কারণে, দুই বছর আগে মুগুর পা নিয়ে তার জন্ম হওয়ার পর আমি দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাই,” খবর দক্ষিণ এশিয়াকে বলেছেন আলী৷

তামিক সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে ওয়াক ফর লাইফ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় যথাযথ চিকিৎসা পায়, এই সংগঠনটি বাংলাদেশকে মুগুর পা থেকে মুক্ত করার জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করছে৷

এই এনজিও’র মতে, ২০০৯ সাল থেকে ১৭,০০০ এরও বেশি অনুরূপ শিশুকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে৷ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো প্রত্যেক রোগীর জন্য ২০,০০০ টাকা (২৫০ ডলার) খরচ বহন করে থাকে৷

এটি একটি রোগ, কোনো অভিশাপ নয়

অতীতে কিছু কুসংস্কারাচ্ছন্ন বাংলাদেশি বিশ্বাস করতেন যে অভিশাপের কারণে মুগুর পা হয়ে থাকে৷ এই ধরনের চিন্তা-ভাবনার কারণে অনেক ছেলেমেয়ে আজীবনের জন্য এই প্রতিবন্ধীত্বকে মেনে নিত৷

তবে, ডাক্তাররা বলছেন যে প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করা হলে এর নিরাময় সম্ভব৷

“সেই দিনগুলো পার হয়ে গেছে এবং সময়ের সাথে সাথে, ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে,” বলেছেন ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক বিভাগের সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক কৃষ্ণ প্রিয় দাস৷ “এখন সারা বাংলাদেশে মুগুর পা নিয়ে জন্ম নেয়া এক হাজারেরও বেশি শিশুকে আমরা প্রতি বছর চিকিৎসা দিচ্ছি”৷

২রা জুলাইতে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় , বাংলাদেশ রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি ( ব্র্যাক), ও সাসটেইনেবল ক্লাবফুট কেয়ার ইন বাংলাদেশ এই প্রতিবন্ধীত্ব নির্মূল করার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে৷

বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির সহযোগিতায় ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া, কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (সিডা) ও ব্র্যাক এই প্রচেষ্টায় তহবিল যোগান দিচ্ছে৷

এই প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৪৪টি মেডিকেল কলেজে ও জেলা হাসপাতালগুলোতে পনসেটি প্রক্রিয়া ব্যবহার করে ২৫,০০০ শিশুকে চিকিৎসা দেয়া হবে, এই প্রক্রিয়ার সাফল্যের হার ৯৫% বলে জানা গেছে৷

এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, ডাক্তাররা পায়ে শক্ত ছাঁচ লাগানো ও অস্ত্রোপচার করার আগে ভুক্তভোগীর অবস্থার জটিলতা নির্ণয় করে থাকেন৷ এর পর, রোগীকে অবশ্যই তিন বছর ধরে একটি জুতা পরে থাকতে হয়৷

“প্রকল্পের বর্তমান মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও সারা বছর ধরে এই চিকিৎসা যাতে পাওয়া যায় তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা এখন কাজ করছি,” খবরকে বলেছেন স্বাস্থ্য সচিব এম.এম. নিয়াজউদ্দীন৷

তিনি আরো বলেছেন, সেই দিন আর বেশি দূরে নয় যখন মুগুর পা নিয়ে জন্ম নেয়া প্রতিটি শিশুকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া যাবে এবং এই প্রতিবন্ধীত্বকে চিরদিনের জন্য নির্মূল করা যাবে৷

No comments:

Post a Comment